পরের দিন দুপুরে সাগরের ফোন এলো, বিরিয়ানি চলে এসেছে, সে যেন তাড়াতাড়ি নিচে সাগরের ফ্ল্যাটে চলে আসে ! সাগরের ফ্ল্যাটে এসে দেখলো সুন্দর করে বিরিয়ানি দুটো প্লেটে সযত্নে সাজিয়ে পরিবেশন করা আছে, সাগরের চোখের দিকে তাকাতে পারছে না সে গতকাল রাতের অপরাধবোধ এখনো তার মনে কাজ করছে ! খাওয়াদাওয়ার পর যাজ্ঞ বাসন নামিয়ে ধুতে গেলো কিন্তু দেবর সাগর বাধা দিলো, বাধা তো দেওয়ারই কথা, তার বৌদি যে এখন তার বাড়ির অতিথি ! দুজনের চুক্তি হলো যে যদি যাজ্ঞ কে বাসন ধুতেই হয় তবে সাগরও সাহায্য করবে, পুরানো জমানো বাসন গুলো হাসি মুখে যাজ্ঞ ধুতে লাগলো, সে ওতে ডিটারজেন্ট লাগিয়ে ঘষে দিচ্ছে, তার সাগর দায়িত্ববান পুরুষের মতো সেটা জলে ভালো করে ধুচ্ছে !
এরপর বিছানা ঘরদুয়ার ভালো করে দুজনে মাইল পরিপাটি করলো, যাজ্ঞ সাগরের মতোই হাসিমুখে সব কিছু করছিলো ! হয়তো এরকম সংসার বা জীবনসঙ্গী যাজ্ঞ আশা করেছিল ! করবে নাই বা কেন? এটা তো কোনো অন্যায় আবদার নয় ! সাগরের সাথে বেশি সময় কাটানোর জন্য সে খুঁজে খুঁজে কাজ বের করতে থাকলো আর হাসুমুখে সব গুছিয়ে দিলো ! যেন যাজ্ঞ কল্পনার সংসারে কাজ করছে ! অনিচ্ছা সত্বেও যাজ্ঞকে বিদায় নিতে হলো ! আজ মনে মনে খুব খুশি সে , সেটা তার বান্ধবীদের চোখেও ধরা পড়লো ! সে কম সুন্দরী নয় নৈঋতা বা অলিভিয়ার থেকে !
আজ বেশ খুশি মনে আড্ডাটা জমে উঠেছিল, আজ সবার সাথেই খুব ঠাট্টা আর ইয়ার্কি করেছে যাজ্ঞসেনী ! সবাই মিলে ঠিক করলো যে কাল বিকেলে একটু সাউথ সিটি যাবে , একটু ঘোরাফেরা একটু সময় অতিবাহন আর মনোরঞ্জনের জন্য ! অনেকদিন পর বাড়ির বাইরে পা রাখবে সে ! রাতের বেলা বরকে সেই প্রস্তাব দিতে কুমারেশ মুহূর্তের মধ্যে সেই দাবি নাকচ করে দিলো ! চোখের জলে বালিশ ভিজিয়ে রাগ দুঃখ অভিমান মেশানো মেজাজে নিদ্রা গেলো ! পরের দিন শেষ মুহূর্তে মেয়ের সারির খারাপের অছিলাতে যাজ্ঞসেনী আর গেলো না !
ওদিকে সুন্দর ঝাঁ চকচকে সাউথ সিটি মলে হাজির অলিভিয়া নৈঋতা আর অলিভিয়ার ১৮ বছর বয়সী ছেলে অলিপ ! অলিপের বয়স ১৮ হলেও সে বাবার মতোই লম্বা হওয়ার জন্য তাকে দেখলে কেউ কলেজ পড়ুয়া ছাত্রই ভাববে ! তিনজন মিলে ঘোরাফেরা খাওয়াদাওয়া আড্ডা গল্প করলো ! নৈঋতা বার বার লক্ষ্য করছে অলিপ তার দিকে বার বার তাকাচ্ছে যেন কিছু বলতে চায় ! বান্ধবীর ছেলে আর এতো কম বয়সী হওয়ার জন্য নৈঋতা সেটা পাত্তাই দিচ্ছেনা আর অন্য কিছু ভাবার কোনো প্রশ্নই নেই , প্রায় তার অর্ধেক বয়সী অলিপ ! অলিপের সাথে গল্প করতে করতে জানতে পারলো যে সে নাকি খুব সুন্দর ছবি আঁকে ! অলিপ আসতে আসতে মিশতে লাগলো নৈঋতার সাথে ! মায়ের উপস্থিতি যেন তার কাছে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে , সে যেন নৈঋতার সাথে একা আলাদা নিজের মতো করে গল্প করতে চায় ! মা অলিভিয়া উঠে খাবারের কাউন্টার এর দিকে যেতেই যেন সে হাফ ছেড়ে বাঁচলো ! সেটা নৈঋতারও চোখ এড়ালো না ! নৈঋত অপেক্ষা করতে লাগলো যেন অলিপ কি বলবে সেটা শোনার জন্য !
শেষ অবধি নিজেই বলে ফেললো
নৈঋতা : বলো অলিপ কিছু বলবে ?
অলিপ : না আন্টি মানে
নৈঋতা : বলো , চোখে মুখে তো উৎসুক ছাপ
অলিপ : আপনি খুব সুন্দরী
নৈঋতা : (হা হা করে হেসে উঠলো এই টুকু বাচ্চা ছেলের কথা তে ) তাই বুঝি?
অলিপ : হ্যাঁ আন্টি সত্যি আপনার চুল গুলো খুব সুন্দর, হাসিটা খুব মিষ্টি
নৈঋতা : তুমি আমার বয় ফ্রেন্ড হবে? (হা হা করে আবার হেসে উঠলো )
অলিপ : আপনার মতো গার্ল ফ্রেন্ড পেলে আমি খুব হ্যাপি হবো
নৈঋতা : আচ্ছা আজ থেকে আমি তোমার গার্ল ফ্রেন্ড (এই বলে আলিপের গালটা একটু টিপে আদর করে দিলো নৈঋতা )
অলিভিয়া আসতেই অলিপ আবার গুটিয়ে গেলো ! সেদিন সবাই যে যার নিজের বাড়ি ফিরলো !
বাড়ি ফিরে নৈঋতা ভাবতে লাগলো যে এই টুকু ছেলেও তাকে সুন্দরী বলছে আর তার বর নিজের এতো সুন্দরী বৌ তার ওপর কোনো রকম নজর এ দেয় না ! হতাশ হয়ে গেলো সে, ভেবে কি লাভ? বরের আদর ভালোবাসা পাওয়া তার কাছে অসম্ভব হয়েই দাঁড়িয়েছে তাই সে কোনো প্রত্যাশাও করে না ! এদিকে বাড়ি ফিরে অলিভিয়া আজ বরের সাথে আবার যৌন খেলতে মেতে উঠেছে রাতে ! আগের রাতে সে ডমিনেট করেছিল , আজ তার বর প্রদীপবাবু ডমিনেট করবেন সেটা সে আশা করেছিল, আর প্রদীপবাবুও মনে মনে তৈরী ছিল এটার জন্য ! প্রদীপবাবু আজ ব্যালকনি এর এল নিভিয়ে আজ অলিভিয়ার সাথে ২০ তলার ব্যালকনি তে দাম্পত্য সুখ উপভোগ করবেন ! রোজের মতোই অলিভিয়ার শরীরের মাদকতাতে আকৃষ্ট হয়ে দুজনে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে ব্যালকনিতে এসে পড়েছে ! ব্যালকনির গ্রিলের লোহা ধরে দাঁড়িয়ে আছে অলিভিয়া, আর প্রদীপবাবু তার সামনে বসে অলিভিয়ার যৌনাঙ্গে নিজের ঠোঁটের স্পর্শে আরো কাতর করে দিচ্ছেন অলিভিয়াকে ! অলিভিয়া দুই পা আরো ফাঁক করে প্রদীপবাবুর কাঁধে তুলে দিয়ে শূন্যে ঝুলে আছে আর নিজের যোনিরস ঢেলে দিচ্ছেন প্রদীপবাবুর মুখে !
এবার প্রদীপবাবু দাঁড়িয়ে অলিভিয়ার হাত দুটো গ্রিলের লোহার সাথে ধরে নিজের পুরুষাঙ্গটা অলিভিয়ার সিক্ত যোনিতে খুব সহজেই প্রবেশ করিয়ে কোমরের ব্যায়াম শুরু করলেন, আর আসতে আসতে গতি বাড়িয়ে ট্রেনকে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা করলেন , মাঝে মাঝে ট্রেনের বাঁশির মতো অলিভিয়ার কাতর মত্ত শীৎকার, গন্তব্যের দিকে যত পৌঁছাতে লাগলেন প্রদীপবাবু, বাঁশিটা টোটো ঘন ঘন বেজে উঠতে লাগলো, এবার অলিভিয়া নিজের পা দুটো প্রদীপবাবুর কোমরে জড়িয়ে নিয়ে শূন্যে ভেসে নিজের যোনিতে প্রদীপবাবুর পিষ্টনের যাতায়াত উপভোগ করতে লাগলো ! দুজনেই চর্মের দিকে পৌঁছাতে লাগলো, আর সেই সাথে সাথে আরো জোরালো গভীর আঘাতে অলিভিয়ার যোনি চূর্ণ বিচূর্ণ হতে লাগলো, জোরে জোরে আরো জোরে হঠাৎ অলিভিয়ার হাত ফস্কে গেলো আর কোমরের ভরেই সে ব্যালকনির মেঝেতে পড়লো, দুজনেই ল্যাংটো অবস্থাতে !
আপাতত তাদের যৌনক্রীড়া পূর্ণতা লাভের পূর্বেই অঘটন ! কোমরের ব্যাথাতে অলিভিয়া কাতরাতে লাগলো, প্রদীপবাবু কোলে তুলে অলিভিয়াকে বিছানাতে এনে শুইয়ে দিলেন ! সকালবেলা ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে এক্সরে তে ধরা পড়লো কোমরের হাড়ে চির ধরেছে ! নৈঋতা হাসপাতালে গিয়ে অলিভিয়ার খোঁজ নিলো ছেলে আলিপের কাছ থেকে ! অলিপের মনটা খারাপ, মন ভালো করার জন্য অলিপকে সময় দিতে লাগলো !
এদিকে যাজ্ঞসেনী কিছুই জানে না , সে প্রিয়ার স্কুলে পেরেন্টস মিটিং এটেন্ড করতে গেছে, মিটিং শেষ , সে বসে আছে স্কুল শেষের পর একেবারে প্রিয়াকে নিয়ে বাড়ি ফিরবে, রাস্তার উল্টো দিকের দোকানে হঠাৎ চোখ পড়লো সাগরের দিকে, সে ফোনে কথা বলতে আর সিগারেটে সুখ টান দিতে ব্যস্ত ! যাজ্ঞ ডাকবে কি ডাকবে না দোটানাতে পরে গেলো, কিন্তু সাগরের চোখ ঠিকই পড়েছে বৌদি যাজ্ঞর ওপর ! ফোন রেখে সে হেসে এগিয়ে এলো বৌদির দিকে ! বৌদিকে নিয়ে সে পাশের কাফেতে আইস ক্রিম খেতে চায়, যাজ্ঞ বার বার না করা সত্ত্বেও এক রকম জোর করেই সাগর নিয়ে গেলো আইস ক্রিমের দোকানে !
আজ অনেকদিন পর তার প্রিয় আইস ক্রিম খাচ্ছে যাজ্ঞ , তাও আবার সাগরের সাথে ! সানগ্লাস টা খুলে রাখলো সে টেবিলে ! সাগর আইস ক্রিম খেতে খেতে বৌদি যাজ্ঞর দিকে তাকাচ্ছে, আর বৌদির চোখে মুখে এক প্রসন্নতা মেশানো অস্থিরতা দেখতে পাচ্ছে ! যাজ্ঞ বার বার এদিক ওদিক আসেপাশে তাকাচ্ছে যেন কোনো অপরাধ করছে, সে যেন এক আসামী ! যদি বরের কানে যাই যে সে সাগরের সাথে বসে আইস ক্রিম খাচ্ছিলো তাহলে তার কপালে দুর্ভোগ আছে ! সাগরের মন চাইছিলো না যাজ্ঞকে ছাড়তে কিন্তু বৌদির অস্থরিতা তাকেও বিচলিত করেছিল, তাই সে আটকে রাখে নি ! সাগরও কেমন যেন বৌদির ওপর একটা আকর্ষণ অনুভব করছে , যেমন কোনো যুবক যুবতীর ডেট এ গেলে হয় ! তাদের তো কখনো সামনে সামনি ভালোভাবে কথাও হয় নি ! কখনো কেউ কারুর সাথে মন খুলে কথা বলে নি, বলে নি ঠিক নয়, বলতে পারে নি !
ঘটনার পর বেশ কিছুদিন কেটে গেছে ! এখন সন্ধের আড্ডাতে অলিভিয়া নেই , শুধুই যাজ্ঞসেনী আর নৈঋতা ! নৈঋতা কথায় কথায় জানালো যে তার বর বেশ কিছুদিনের জন্য বাইরে যাচ্ছে ! বাড়িতে শুধুই ১২ বছর বয়সী মেয়ে সুধন্যা !
রাতের বেলা অলিপের মেসেজ এলো, তার ঘুম আসছে না, মায়ের জন্য মন খারাপ করছে ! নৈঋতা জেগে ছিল, অলিপকে ফোনে করে তাকে ফোনে সান্তনা দিলো ! পরের দিন অলিপকে নিয়ে একটু বেরিয়েছে নৈঋতা আর ছোট অলিপের ম্যাচুরিটি দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছে, এই টুকু ছেলের কি অসাধারণ ব্যক্তিত্ব আর এতো সুন্দর কথা বলতে পারে যেন মনেই হচ্ছে না ৩৮ এর কাছাকাছি বয়সী নৈঋতা ১৮ বছরের অলিপের সাথে কথা বলছে, যেন মনে হচ্ছে এক ম্যাচিউর কোনো পুরুষের সাথে সে ঘোরাফেরা আর বার্তালাপ করছে ! হাজার হোক সে অলিপের মায়ের বান্ধবী তাই অলিপকে একদম সিরিয়াসলি নিচ্ছেন না, তবু অবাক হয়ে যাচ্ছেন এই বিস্ময় বালকের কথাবার্তায় ! সেদিন সন্ধে বেলা বাড়ি ফেরার পরে রাতে অলিপ আবার নিজে থেকেই ফোনে করেছে নৈঋতাকে আর আন্টি আন্টি করে তার মনের অন্দরমহলে দস্তক দেওয়া শুরু করেছে !
পরেরদিন দুপুরবেলা নৈঋতা বাড়িতে একা একা বসে আছে, কিছুটা মন খারাপ আর একাকিত্ব বোধ করছে ! কোনোকিছুই ভালো লাগছে না তার, আর ওদিকে অলিপ ও দুপুরে কি করবে ভেবে না পেয়ে ফোনে নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে লাগলো ! হঠাৎ নৈঋতার বাড়ির কলিং বেল বেজে উঠলো, নৈঋতা অনিচ্ছা সত্বেও দরজা খুলে অবাক হয়ে গেলো, অলিপ তার ক্যানভাস নিয়ে হাজির নৈঋতার বাড়িতে, সে নৈঋতার ছবি আঁকবে ! নৈঋতা যতটা অবাক অলিপ কে দেখে, ততটাই অবাক উদ্যেশ্য শুনে ! সে হাসবে না রাগ করবে না অবাক হবে ভেবে উঠে না উঠতেই অলিপ নৈঋতাকে একটু ঠেলে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করলো, আর নৈঋতাকে সোফাতে বসলো ! ও টুকু ছেলের গাম্ভীর্য আর তৎপরতা দেখে শেষ অবধি আর হাসি চাপতে পারলো না !
অলিপ তখন শুরু করে দিয়েছে স্কেচ, নিজের বেশভূষার দিকে নজর দিয়ে নৈঋতা লজ্জা পেয়ে উঠে ওড়না আন্তে গেলো, গৃহবধূরা সাধারণত বাড়িতে একা থাকলে বক্ষের অন্তর্বাস পরিধান করে না ! তার ছোট দুটো কিসমিস দানা, কিছুটা স্পষ্ট , অলিপ বাধা দিলো নৈঋতাকে ওড়না নিতে, সে ওই অবস্থাতেই খুব সুন্দর একটা ছবি ফুটিয়ে তুলতে লাগলো তার ক্যানভাসে ! অলিপের প্রতিভা রীতিমতো অবাক করে দিলো নৈঋতাকে ! শরীরের প্রতিটা খাজ প্রতিটা ভাজ ফুটে উঠতে লাগলো অলিপের অঙ্কনে ! সুধন্যা ঘুম থেকে উঠে মায়ের কীর্তিকলাপ বুঝতে পারলো না, সে বেরিয়ে গেলো তার বান্ধবীদের সাথে খেলা করতে !